সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অনুসারী শিল্প কাকে বলে?

অনুসারী শিল্প কাকে বলে? কোন একটি বৃহৎ শিল্পকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে যে সমস্ত ছোট ছোট শিল্প গড়ে ওঠে তাদের ‘অনুসারী শিল্প’ বা ‘ সহযোগী শিল্প ’ বা ‘ ডাউনস্ট্রিম ইন্ডাস্ট্রি ’ বলে। অনুসারী শিল্পগুলি কোন বৃহদায়তন মূল শিল্প উৎপাদিত শিল্পজাত দ্রব্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে গড়ে ওঠে।  মূল শিল্পটিকে কেন্দ্রীয় শিল্প ও তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা অন্যান্য শিল্পগুলি হল অনুসারী শিল্প। উদাহরণ : হলদিয়ার তৈল শোধনাগার ও পেট্রোরসায়ন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানাবিধ অনুসারী শিল্প। যেমন, সার কারখানা (হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন), ফসফেট কারখানা, স্ব ওয়ালেস কোম্পানির উদ্যোগে কীটনাশক ওষুধের কারখানা, ক্লোরাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডের অধীনে ব্যাটারি কারখানা, হিন্দুস্তান লিভারের অধীনে সাবান কারখানা, সালফিউরিক অ্যাসিড ও সোডা অ্যাশ উৎপাদনের কারখানা, সিমেন্ট তৈরীর কারখানা ইত্যাদি।

দুন বলতে কী বোঝো?

‘দুন’ বলতে কী বোঝো? What do you mean by 'dun'? ‘দুন’ কথার অর্থ হল ‘ দুই পর্বতের মাঝে নিচু জমি ’। শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের সংকীর্ণ অনুদৈর্ঘ্য উপত্যকা ‘দুন’ নামে পরিচিত। উৎপত্তি : মূল হিমালয়ের সৃষ্টির অনেক পরে যেহেতু সেবালিক পর্বতের উত্থান তাই মূল হিমালয়ের অর্ধাংশ থেকে আগত নদীগুলি শিবালিক পর্বতে বাধা প্রাপ্ত হয়ে অসংখ্য রোদের সৃষ্টি করে। পরবর্তীকালে ওই হ্রদ গুলি নূরী কাঁকড় বালি পলি ইত্যাদি দ্বারা ভরাট হয়ে দুন উপত্যকার সৃষ্টি হয়েছে। দুনের বৈশিষ্ট্য : দুন উপত্যকার কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন,  দুন হলো অনুদৈর্ঘ্য ও ভূগাঠনিক উপত্যকা।  এগুলি দীর্ঘ, অল্প বিস্তর ও প্রায় সমতল।  দুন উপত্যকায় অনেক ছোট ছোট হিমবাহ শ্রেষ্ঠ হ্রদ দেখা যায়, যাদের স্থানীয় নাম ‘তাল’ । দুজনের উদাহরণ : উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন হল হিমালয়ের সবচেয়ে বড় দুন উপত্যকা। -----------xx----------- 📘 এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : ‘দুন’ শব্দের অর্থ কী? দুনের উৎপত্তি হয় কীভাবে? দুন কী? দুনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো এবং একটি উদাহরণ দাও।  ‘দুন’ কাকে বলে? কোথায় কীভাবে ভাবে দুন সৃষ্টি হয়ে...

ভারতের মরু উদ্ভিদের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

ভারতের মরু উদ্ভিদের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো। স্বাভাবিক উদ্ভিদ : মানুষের প্রচেষ্টা ছাড়াই প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে যে উদ্ভিদ জন্মায় তাকে স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে। [ উল্লেখ্য, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের স্থানিক ও ঋতুগত বৈচিত্র্য, মৃত্তিকা ইত্যাদি বিষয়ের উপর কোনো অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের বন্টন নির্ভর করে। ] ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ : ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা— ক্রান্তীয় চিরহরিৎ, ক্রান্তীয় পর্ণমোচী, ক্রান্তীয় মরু, পার্বত্য উদ্ভিদ ও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ।  ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদ : এদের মধ্যে ‘ ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদ ’ ভারতের রাজস্থানের মধ্য ও পশ্চিম ভাগে এবং গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চলে দেখা যায়। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৫০ সেন্টিমিটারের কম বলে এই অঞ্চল উষ্ণ ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। এই উষ্ণ ও শুষ্ক পরিবেশে জন্মানো কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদকে ‘মরু উদ্ভিদ’ বলে। মরু উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য : ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় : এই ধরনের উদ্ভিদকে মাটির গভীর থেকে জল সংগ্রহের কারণে গাছের শিকড় মাটির গভীর পর্যন্ত বিস্তারিত হয়।  এদের বেশিরভাগ গাছের পাতা কাঁটায় পরিণত হয়। এই ক...

পৌরসভার বর্জ্যের সংজ্ঞা দাও।

পৌরসভার বর্জ্যের সংজ্ঞা দাও। বর্জ্য : যেকোনো কঠিন তরল কিংবা গ্যাসীয় পদার্থ যেগুলি আমাদের কোন কাজে লাগে না সেগুলি হল বর্জ্য পদার্থ। প্রধানত সাতটি উৎস থেকে বর্জ্য পদার্থের সৃষ্টি হয়। যেমন, গৃহস্থালি বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য, কৃষিজ বর্জ্য, পৌরসভার বর্জ্য, জৈব বর্জ্য, চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ইত্যাদি। পৌরসভার বর্জ্য : শহরের গৃহস্থালী, হাসপাতাল, কলকারখানা প্রভৃতি উৎস থেকে আগত সমস্ত কঠিন বর্জ্য, যেগুলি গার্বেজ হিসেবে বেশি পরিচিত, তাদের ‘ পুরসভার বর্জ’ বলে।  পুরসভা বা পৌরসভার বর্জ্য গুলি হল : জীববিশ্লেষ্য বর্জ্য : খাদ্য রান্নাঘরের বর্জ্য বাগানের গাছপালার কাটা অংশ।  পুনঃচক্রী বর্জ্য : কাগজ, কাঁচ, বোতল, ক্যান, ছেঁড়া কাপড় নিষ্ক্রিয় বর্জ্য : বাড়িঘর ভাঙা পদার্থ, পাথর ইত্যাদি বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন বর্জ্য : টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদি মিশ্র বর্জ্য : বর্জ্য কাপড়, প্লাস্টিকের খেলনা ইত্যাদি  বিষাক্ত বর্জ্য : রং, সার চিকিৎসা সংক্রান্ত : হাসপাতালের সিরিঞ্জ, ওষুধের ফেলে দেওয়া প্যাকেট ইত্যাদি -----------xx----------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : বর্জ্য পদার্থ কী? প...

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝো?

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝো? বর্জ্য কী? সাধারণত পরিত্যক্ত বা ফেলে দেওয়া কঠিন তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ যা আপাতভাবে কোন প্রয়োজনে লাগে না তাকে বর্জ বলে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কী : বর্জ্য পদার্থগুলিকে শুধুমাত্র অপসারণ বা স্থানান্তকরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ না করে প্রয়োজনমতো এগুলির পরিমাণ হ্রাস, পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। এটাই হলো ‘ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ । উল্লেখ্য, এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তিন পদ্ধতিতে করা হয়।  বর্জ্য পৃথকীকরণ  ভরাটকরণ বা ল্যান্ডফিল   কম্পোস্টিং  এছাড়া নিকাশি পদ্ধতির মাধ্যমে তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা এবং স্ক্রাবারের মাধ্যমে গ্যাসীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করা হয়।  -----------xx----------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কী? কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হয়?  বর্জ্য কী? কীভাবে বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়? বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাকে কী বলা হয়? সংক্ষেপে লেখো। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : বর্...

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভরাটকরণ কাকে বলে?

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘ভরাটকরণ’ কাকে বলে? ভরাটকরণ বা ল্যান্ডফিল : বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কঠিন বর্জ্য পদার্থসমূহকে কোন নিচু উন্মুক্ত জায়গায় জমা করা বা মাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়াকে ‘ ভরাটকরণ ’ বা ‘ ল্যান্ডফিল ’ বলা হয়। ভরাটকরণ প্রক্রিয়ার বিশেষত্ব : এই পদ্ধতিতে  একটি নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনার জৈব অংশ আলাদা করে একটি ২ মিটার উঁচু স্তর বিছিয়ে দেয়া হয়। তার উপরে ২০-২৫ সেন্টিমিটার মাটির স্তর ছড়িয়ে দেয়া হয়। মাটির নিচে থাকা এই বর্জ্যগুলি জৈব ভঙ্গুর বলে এদের পচন হয় এবং তার ফলে এগুলির ভৌত রাসায়নিক ও জৈব ধর্মের পরিবর্তন ঘটে। এই প্রক্রিয়া চলার সময় এর থেকে মিথেন অ্যামোনিয়া প্রভৃতি গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া শেষ হবার পর যা অবশিষ্ট হিসাবে পড়ে থাকে সেগুলি দিয়ে নিচু জমি ভরাট করা হয়।  ভরাটকরণ প্রক্রিয়ার উদাহরণ : পূর্ব কলকাতার ধাপায় এই পদ্ধতিতে নিচু জমি ভরাট করে উর্বর কৃষিজমি তৈরি করা হয়েছে। ভরাটকরণ প্রক্রিয়ার সুবিধা : এই প্রক্রিয়ায় বর্জ্য পদার্থ মাটি দিয়ে ঢাকা থাকে বলে দূষণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।  ভরাটকরণ প্রক্রিয়ার অসুবিধা...

পেরিগি জোয়ার বলতে কী বোঝো?

পেরিগি (পেরিজি) জোয়ার বলতে কী বোঝো? ‘পেরিজি’ শব্দটি গ্রীক শব্দ পেরি (Peri) ও জিয়া(Ge)-র মিলিত রূপ। শব্দের অর্থ এরাউন্ড (Around) এবং জিয়া শব্দের অর্থ হলো পৃথিবী। এদের মিলিত শব্দ পেরিজের অর্থ হল পৃথিবীর কাছাকাছি।  পেরিগি জোয়ার : প্রধানত চন্দ্রের আকর্ষণী শক্তির প্রভাবে এবং অপেক্ষাকৃত কম মাত্রায় সূর্যের আকর্ষণী শক্তির প্রভাবেও নিয়মিতভাবে দিনে দু’বার করে পর্যায়ক্রমে সমুদ্র জলের স্ফীতি ও অবনমন ঘটে। সমুদ্রের এই জলস্ফীতিকে ‘ জোয়ার’ বলে। এখন নিজ কক্ষপথে চাঁদের পৃথিবীকে পরিক্রমণকালে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব (৩,৭৫,০০০) যখন সবচেয়ে কম হয় অর্থাৎ চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকছি আসে, তখন সেই অবস্থানকে বলে পেরিগি (Perigee) / পেরিজি । এই অবস্থায় পৃথিবীর উপর চাঁদের মহাকর্ষ বলের প্রভাব অত্যন্ত বেড়ে যায়। ফলে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়। আর এই জোয়ারকেই ‘ পেরিগি জোয়ার’ বলে।  পিরিগি জোয়ারের বৈশিষ্ট্য : এই সময় জোয়ারের প্রাবাল্য সাধারণ জোয়ারের থেকেও কুড়ি শতাংশ বেশি হয়।  একই সময়ে ভরা কোটাল ও পেরিজি জোয়ার সৃষ্টি হলে জোয়ারের জলতল সর্বোচ্চ হয়।  -----------xx----------- এ...