সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তিনটি প্রয়োজনীয়তা

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তিনটি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তিনটি প্রয়োজনীয়তা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : নানান ধরনের বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্য সংগ্রহ, সঠিকভাবে বর্জ্যের সদ্ব্যবহার, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার, নতুন সম্পদ সৃষ্টি এবং পরিবেশে বর্জ্যের কুপ্রভাব দূর করার সম্মিলিত প্রক্রিয়াকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা : বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা নিম্নলিখিতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ : মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য বৃদ্ধির ফলে বায়ু, জল, মাটি এবং দৃশ্য দূষণের সমস্যা হয়। তাই মাটির উর্বরতা রক্ষা, পরিবেশের পরিছন্নতা সহ দৃশ্য দূষণ হ্রাস করার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হয়।  সম্পদ সৃষ্টি : দূষক বর্জ্য পদার্থ গুলি কে আবার ব্যবহার করে এবং পুনরাবর্তন জৈব সার জৈব গ্যাস সিমেন্ট ইট খেলনা পেনদানি নতুন প্লাস্টিক কাগজ ধাতু কাচ ইত্যাদি সম্পদ সৃষ্টি করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।  বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস : জনবিস্ফোরণ, ক্রমবর্ধমান শহরাঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল আমাদের চারপাশে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যের পরিমাণ অতি দ্রুত বিপুল পরি...
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

প্রকৃতি অনুসারে বর্জ্যের উদাহরণ-সহ শ্রেণিবিভাগ করো।

প্রকৃতি অনুসারে বর্জ্যের উদাহরণ-সহ শ্রেণিবিভাগ করো। প্রকৃতি অনুসারে বর্জ্যের উদাহরণ-সহ শ্রেণিবিভাগ করো। বর্জ্য কী? যেকোনো কঠিন, তরল কিংবা গ্যাসীয় পদার্থ, যেগুলি আমাদের কোন কাজে লাগে না, অর্থাৎ ফেলে দেয়া হয়, সেগুলিই হল ‘ বর্জ্য’ বা ‘ বর্জ্য পদার্থ’ । বর্জ্যের শ্রেণীবিভাগ : সাধারণভাবে বর্জ্যের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বর্জ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কঠিন বর্জ্য  তরল বর্জ্য  গ্যাসীয় বর্জ্য  কঠিন বর্জ্য পদার্থ : যে সমস্ত বাতিল পদার্থ প্রকৃতিগতভাবে কঠিন এবং প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে দীর্ঘ সময় লাগে তাকে কঠিন বর্জ্য বলে।  উদাহরণ : কাচ প্লাস্টিক টিন ব্যাটারি কাগজ নানা রকম ধাতব জিনিস ছাই কাপড় টায়ার টিউব শাকসবজি ও ফলমূলের খোসা ইত্যাদি।  তরল বর্জ্য পদার্থ : যে সমস্ত বাতিল পদার্থ প্রকৃতিগতভাবে তরল এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায় তাকে তরল বর্জ বলে।  উদাহরণ : মলমূত্র, নোংরা জল, সাবান ও ডিটারজেন্ট মিশ্রিত জল, কলকারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক মিশ্রিত জল ইত্যাদি। গ্যাসীয় বর্জ্য : যে সমস্ত বাতিল বা অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বায়বীয় বা গ্যাসীয় আকারে...

জেট বায়ু প্রবাহের সঙ্গে ভারতীয় মৌসুমী বায়ুর সম্পর্ক

জেট বায়ু প্রবাহের সঙ্গে ভারতীয় মৌসুমী বায়ুর সম্পর্ক উল্লেখ করো।  জেট বায়ু প্রবাহের সঙ্গে ভারতীয় মৌসুমী বায়ুর সম্পর্ক Relationship between the jet stream and the Indian monsoon জেট বায়ুর সঙ্গে ভারতীয় মৌসুমী বায়ুর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দক্ষিণ এশিয়ায় দুই ধরনের জেট বায়ুপ্রবাহ দেখা যায়। একটি ক্রান্তীয় পূবালী জেট ও অন্যটি  উপক্রান্তীয় পশ্চিমা জেট । এই দুটি শাখার প্রভাবেই মূলত ভারতে মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তি (আগমন ও পশ্চাপসরণ) ঘটে। ক্রান্তীয় পূবালী জেট ও মৌসুমী বায়ু :  গ্রীষ্মকালে তিব্বত মালভূমি প্রচণ্ড উত্তাপ গ্রহণ করে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি করে। এই কারণে, উপক্রান্তীয় পশ্চিমা জেট বায়ু উত্তরের সরে যায়। এই পরিস্থিতিতে ক্রান্তীয় পূবালী জেট বায়ু ভারতের মাঝ বরাবর প্রবেশ করে নিম্নচাপ সৃষ্টি করে। এই শক্তিশালী নিম্নচাপের আকর্ষণে ভারতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে। ফলে ভারতে বর্ষাকালের সূচনা হয়। উপক্রান্তীয় পশ্চিমা জেট ও মৌসুমী বায়ু :   অন্যদিকে, অক্টোবর মাসে ক্রান্তীয় পূবালী জেট বায়ু বিলীন হয়ে যায়। এই সময় উপক্রান্তীয় পশ্চিমা জেট  উত্তর ভা...

নদীর বহনকার্যের তিনটি প্রক্রিয়া

নদীর বহনকার্যের তিনটি প্রক্রিয়া সংক্ষেপে আলোচনা করো। নদীর বহনকার্যের তিনটি প্রক্রিয়া Three processes of river transportation পাথরের টুকরো, বালি, কাদা, পলি, প্রভৃতি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া পদার্থগুলিকে নদীর বোঝা বা load বলে। এই সব ক্ষয়িত পদার্থ বা বোঝাকে জলপ্রবাহের সঙ্গে বয়ে নিয়ে যাওয়া বা অপসারণ করার কাজকে নদীর বহন বা পরিবহন বা বহনকার্য বলে।  নদীর এই বহনকার্য চারটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হয়। এদের মধ্যে প্রধান তিনটি প্রক্রিয়া হল : দ্রবণ প্রক্রিয়ায় বহন : নদীর গতিপথে লবণ ( ক্লোরাইড, সালফেট প্রভৃতি) কিংবা চুনাপাথর জাতীয় কোন জলে দ্রবণীয় শিলাখণ্ড অবস্থান করলে, জলস্রোতে ওই সকল শিলার দ্রবণ এক স্থান থেকে অন্যত্র বাহিত হয়। এই বহনকে দ্রবণ প্রক্রিয়ায় বহন নামে অভিহিত করা হয়। ভাসমান প্রক্রিয়ায় বহন : ক্ষুদ্রাকার ও কম ওজনের প্রস্তরখন্ড, বালি কিম্বা কাদার কণাগুলি নদীর স্রোতে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে এক স্থান থেকে অন্যত্র ভেসে বাহিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ভাসমান প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ায়  হাওয়া বহনকে ' ভাসমান প্রক্রিয়ায় বহন' বলা হয়।  লম্ফদান প্রক্রিয়ায় বহন : কখনও...

ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্রের দুটি ব্যবহার লেখো।

 ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্রের দুটি ব্যবহার লেখো।  ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্রের দুটি ব্যবহার লেখো। যে মানচিত্রে ভূপৃষ্ঠের কোন অঞ্চলের প্রাকৃতিক ( যেমন ভূমিরূপ, নদ নদী) ও সাংস্কৃতিক ( যেমন, জনবসতি পরিবহন) উপাদান গুলিকে নির্দিষ্ট রং এবং প্রতীক চিহ্নের সাহায্যে নির্দিষ্ট স্কেল, অক্ষাংশ, দ্রাঘিমা ও সূচক সংখ্যা সহ উপস্থাপিত করা হয় সেই মানচিত্রের নাম ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র।  ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন - বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিষয়, যেমন -- ভূমিরূপ, নদনদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ এবং পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ( যেমন--  সড়ক পথ রেলপথ বসতি) সম্বন্ধে জানতে ব্যবহৃত হয়। প্রতিরক্ষা বা সামরিক প্রয়োজনে এই মানচিত্র বেশি ব্যবহৃত হয়। -------xx------- এই প্রশ্নটি  অন্য যেভাবে আসতে পারে : ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র কাকে বলে? এর দুটো ব্যবহার লেখ। টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র কী?এই মানচিত্র কি কাজে ব্যবহার করা হয়? টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র বলতে কী বোঝো?এর গুরুত্ব লেখো। ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র বিষয়ক আরো কিছু প্রশ্ন : মিলিয়ন শিট বলতে কী বোঝো? ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্রের দুটি ব্যবহার ল...

সেন্সর বলতে কী বোঝো?

সেন্সর বলতে কী বোঝো?  সেন্সর বলতে কী বোঝো? পৃথিবী থেকে মহাকাশে যেসব  কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয় তার মধ্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা বা সেন্সর লাগানো থাকে।  এর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের যে চিত্র সংগৃহীত হয় তারই নাম উপগ্রহ চিত্র।  উপগ্রহ চিত্র তোলার প্রথম পর্যায়ে এই ক্যামেরাযুক্ত কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়। এই সেন্সর হল এমন একটি যন্ত্র যা উপগ্রহ থেকে ডিজিটাল পরিসংখ্যানের আকারে পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তু বা উপাদানের তথ্য সংগ্রহ করে। এই সেন্সরগুলি দু'রকমের হয় : সক্রিয় (Active) সেন্সর : যেসব সেন্সর কোন বস্তু বা উপাদানের তথ্য সংগ্রহের সময় সৌরশক্তির উপর নির্ভর না করে সাধারণত রাডারের মাধ্যমে আলোক তরঙ্গ পাঠিয়ে তার প্রতিফলন সংগ্রহ করে তাদেরকে সক্রিয় সংবেদন বা অ্যাকটিভ সেন্সর বলে। এইসব সেন্সর গুলির সাহায্যে রাতে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।  নিবৃত (Passive) সেন্সর : যেসব সেন্সর কোন বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের সময় সৌরশক্তির উপর নির্ভর করে থাকে তাকে নিবৃত সংবেদন বা প্যাসিভ সেন্সর বলে।  এই সেন্সর গুলি কেবল দিনের বেলা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।  যে...

ভারতের প্রধান অভ্যন্তরীণ জলপথের যুক্তকারী কেন্দ্র দুটির নাম লেখো।

ভারতের প্রধান অভ্যন্তরীণ জলপথের যুক্তকারী কেন্দ্র দুটির নাম লেখো। Name any two connecting hubs of major inland waterways of India. মানুষ ও স্থানান্তরযোগ্য বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীকে যখন যানবাহনের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেয়া হয় তখন তাকে বলে পরিবহন ।  ভৌগোলিক পরিবেশের পার্থক্যের জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রধানত ৫ ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা দেখা যায়। যথা— স্থলপথ, জলপথ, আকাশপথ, পাইপলাইন ও রজ্জুপথ।  ভারতের জলপথ প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত— অভ্যন্তরীণ পথ ও সমুদ্র পথ। ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথের যুক্তকারী কেন্দ্র দুটির নাম হল এলাহাবাদ ও হলদিয়া (১৬২০ কিঃমিঃ) -----------xx----------- 📘 এই প্রশ্নটি যেভাবে ঘুরিয়ে আসতে পারে : পরিবহন কাকে বলে? ভারতে কয় ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়?